কী সেবা কীভাবে পাবেন
শ্রোতাদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রদানে, জনগনের জীবন মান উন্নীতকরনের জন্য শিক্ষাদান এবং নিজস্ব ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বিনোদন দেয়াই বাংলাদেশ বেতারের কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য।
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল বিনামূল্যে যে সকল সেবা প্রদান করেঃ
(ক) নিখোঁজ ব্যক্তি সম্পর্কে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করণীয়ঃ
অসাবধানতা বশত: অনেকের প্রিয় সন্তান, শিশু-কিশোররা হারিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় ডায়েরী করতে হয়। ডায়েরীর কপিসহ বেতারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে আবেদনপত্র প্রাপ্তির এক কর্মদিবসের মধ্যে বিনামূল্যে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। সম্ভব না হলে দুই কর্মদিবসের মধ্যে অবশ্যই প্রচার করা হয়। নির্ধারিত ফরম বিনামূল্যে বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বা বাংলাদেশ বেতারের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোর নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংবাদও বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল প্রচার করে থাকে।
(খ) মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্ত দানের বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করণীয়ঃ
সংশ্লিষ্ট রোগীর রক্ত সঞ্চালনের জন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান/হাসপাতাল/বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত চাহিদাপত্রের কপিসহ বাংলাদেশ বেতার, বরিশার কেন্দ্রে রোগীর পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি সাদা কাগজে আবেদন করলে যথাসম্ভব শিঘ্র বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(গ) জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিঃ
পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রদত্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আই এস পি আর কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকার জনগুরুত্বসম্পন্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি, যানবাহনের সময়-সূচি, বিভিন্ন শহরের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র/ইউনিটের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবরে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করলে যথাসম্ভব শীঘ্র তা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার জন্য করণীয় ঃ
দেশের শহর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক সুপ্ত প্রতিভাবান শিল্পী রয়েছেন, বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল এসব প্রতিভাবান শিল্পীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে বছরে এক/দু’বার কন্ঠস্বর পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়া যায়। তালিকাভুক্ত শিল্পীগণকে শ্রেণী অনুযায়ী বেতারের নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুসারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয় এবং সম্মানী প্রদান করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে বরিশাল বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়। কন্ঠস্বর পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত: ‘গ’-শ্রেণীতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। তালিকাভুক্ত শিল্পী হতে হলে করণীয় নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :
(১) সংগীত শিল্পীঃ
* রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতের ক্ষেত্রে বেতার নির্ধারিত ১৫টি গান এবং শিল্পীর জানা ১৫টি গানের তালিকা প্রদান করতে হয়। এছাড়া দেশের গান ও আধুনিক ও পল্লী গানের ক্ষেত্রে শিল্পীর জানা ৩০টি গানের তালিকা আবেদন পত্রের সাথে যুক্ত করতে হয়,
* সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রের
সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র(জাতীয় পরিচয়পত্র),২ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র(যদি থাকে)সহ জীবন বৃত্তান্ত জমা দিতে হয়,
* আবেদনপত্রে উল্লিখিত ঠিকানায় পত্র প্রেরণ করে কন্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়,
* শিশু শিল্পীর ক্ষেত্রে উপানুচ্ছেদ (১)-এ বর্ণিত গানের তালিকা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
* তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
(২) নাট্যশিল্পী ও ঘোষক/ঘোষিকাঃ
* আবেদনকারীকে কমপক্ষে এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুকন্ঠের অধিকারী/অধিকারিণী
হতে হয়,
* আঞ্চলিক পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রের সাথে কোন ফি/টাকা
জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ জীবন বৃত্তান্ত জমা দিতে হয়,
* আবেদনপত্রে উল্লিখিত ঠিকানায় পত্র প্রেরণ করে কন্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়,
* শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সুপারিশক্রমে শিশু কিশোর শিল্পীরা আবেদন করতে পারে,
* তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
(৩) সংবাদ পাঠক/পাঠিকাঃ
* আবেদনকারী/আবেদনকারিণীকে কমপক্ষে এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হয়। আবেদনপত্রের
সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ০২ কপি পাসপোর্ট
আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়
* আবেদনকারী/আবেদনকারিণীকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুকন্ঠের অধিকারী/অধিকারিণী হতে হয়,
* আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়,
* আবেদনপত্রের ঠিকানা অনুযায়ী পত্র প্রেরণ করে কন্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ৬ মাসের মধ্যে শিল্পীকে আমন্ত্রণ
জানানো হয় এবং নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে পাঠক/পাঠিকাদের জানিয়ে দেয়া হয়,
* তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী
প্রদান করা হয়।
৪) গীতিকারঃ
* নিজের লেখা ২৫টি গানের পান্ডুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়।
* আবেদন করার ৬ মাসের মধ্যে নির্ধারিত বোর্ড কর্তৃক যোগ্যতা বিচার করে গীতিকার নির্বাচন করা হয়
এবং নির্বাচিত গীতিকারকে সাথে সাথে পত্র দিয়ে জানানো হয়।
* গান প্রচারের সংখ্যা অনুযায়ী গীতিকার নির্ধারিত হারে রয়েলটি প্রাপ্য হন।
* যে কোন কেন্দ্রে তালিকাভুক্ত গীতিকারের গান সকল কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়।
(৫) সুরকার ও বাদ্যযন্ত্রীঃ
* আবেদনকারীর গানের সুর, তাল ও লয় সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হয়,
* আঞ্চলিক পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা
দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ০২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
* আবেদন করার সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে নির্ধারিত বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষা গ্রহণ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা
হয় এবং তাঁদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়।
* সুরকারদের অডিশনের সময় তাৎক্ষণিকভাবে নতুন গানের সুরারোপ করতে হয়,
* তালিকাভুক্ত সুরকারগণকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী সুর ও সংগীত পরিচালনার জন্য
সম্মানী প্রদান করা হয়।
(৬) নাট্যকারঃ
* নিজের লেখা নাটকের পান্ডুলিপিসহ আঞ্চলিক পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে সাদা কাগজে আবেদনের সাথে জনাগরিকত্ব সনদপত্র, ০২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
* নাটকের পান্ডুলিপি বেতারে প্রচার উপযোগী বিবেচিত হলে তাঁকে ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে নাট্যকার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
* নাটক প্রচারের সময় ও সংখ্যা শ্রেণী অনুযায়ী নাট্যকারকে রয়েলটি প্রদান করা হয়।
(৭) কথক / আলোচকঃ
* শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয়,
* উচ্চারণ ও উপস্থাপনা মানসম্মত হতে হয়,
* সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেতারে প্রচার উপযোগী পান্ডুলিপি রচনায় সক্ষম হতে হয়,
* পান্ডুলিপি ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রদান করা হয়।
* বেতারের সংশ্লিষ্ট প্রযোজক/পরিচালক সরাসরি কথক/আলোচকদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন,
* কোন বিশেষজ্ঞ বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তিনি নিজে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পরস্পরের মধ্যে আলোচনাক্রমে সংশিষ্ট ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়।
(৮) কোন বিষয় জানতে চাইলেঃ
কোন অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু, উপস্থাপনার মান, আঙ্গিক/কারিগরী মানসহ যে কোন বিষয়ে শ্রোতাদের মতামত বাংলাদেশ বেতার, সিলেট সর্বদা আহবান করে থাকে। এ ছাড়া শ্রোতারা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক অথবা সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের প্রযোজক বরাবর পত্র প্রেরণ করতে হয়। পত্রের উত্তর ০২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রচারিত চিঠিপত্রের জবাব অনুষ্ঠানে দেয়া হয়। একটি বিষয়ে একাধিক পত্র থাকলে শুধুমাত্র প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়।
(১০) চাকরি পেতে হলেঃ
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। এতে ৩০টি সরকারী (রাজস্ব খাতে) এবং ১৬টি আধা-সরকারী
(শিল্পী খাতে) অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি ১ম শ্রেণীর পদ রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর পদসমূহ বিসিএস ক্যাডারভুক্ত, বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এ সকল পদে প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়। ২য় শ্রেণীর পদে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয় এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর শূন্য পদে সরকারের অনুমতিক্রমে বিধিবিধান মোতাবেক পত্রিকা এবং প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
(১১) বাংলাদেশ বেতার, নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে করণীয়ঃ
* বেতারের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে সরাসরি অথবা তালিকাভুক্ত বিজ্ঞাপনী সংস্থার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়।
* বিজ্ঞাপনের বক্তব্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী বেতার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়।
* বিজ্ঞাপন প্রচারে নির্ধারিত মূল্য অগ্রিম প্রদান করতে হয়। বিজ্ঞাপন প্রচারের হার সরকার কর্তৃক
পুন:নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
* বাংলাদেশ বেতার বরিশার কেন্দ্রে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম, ১২১, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা বা বরিশাল কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করতে হয়।
* বিজ্ঞাপনে উৎপাদন খরচ ও বিজ্ঞাপনে প্রচারের জন্য পৃথকভাবে নির্ধারিত আছে।
* বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল -এ সংবাদসহ সকল অনুষ্ঠানে এ বিজ্ঞাপন প্রচার করার সুযোগ আছে।
* স্পন্সর প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল কেন্দ্রে যে কোন খেলার ধারা বিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করা যায়।
(১২) অভিযোগঃ
বর্ণিত সেবাসমূহ যথাসময়ে যথোপযুক্তভাবে না পাওয়াগেলে অথবা সময়মত কোন অনুষ্ঠান শোনা না গেলে বা অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু প্রেরণ ও কারিগরী বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ বেতারের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক ই-মেইল/টেলিফোন এবং পত্র মারফত অভিযোগ গৃহীত হবে। শুধুমাত্র ই-মেইল ও পত্র মারফত প্রাপ্ত অভিযোগ সম্পর্কে অনধিক ১০ (দশ) দিনেরমধ্যে লিখিত উত্তর প্রদান করা হয়।
মহাপরিচালক - ০২-৯৬৬০০০৩ E-mail : dgbetar @btcl.net
৯৬৬২৬০০(ফ্যাক্স)
উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ০২ -৮৬১৪৯৪১
উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) - ০২-৮৬১৪৯৪৩
প্রধান প্রকৌশলী - ০২-৮১১৮৭৩৪
পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)- ০২- ৮৬১৬২৫৪
১৩) বাংলাদেশ বেতার এর ওয়েবসাইট = www.betar.gov.bd
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল -এর সেবা গ্রহীতাঃ
* শিক্ষিত-নিরক্ষর নির্বিশেষে সকল বয়সের, পেশার ও শ্রেণীর শ্রোতাগোষ্ঠী;
* বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পী, কলা-কুশলী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, বৈজ্ঞানিক, চিকিৎসক,
ধর্মীয়নেতা, পেশাজীবীসহ যারা বিভিন্নভাবে বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ও করতে চান;
* সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আর্ন্তজাতিক সংস্থাসমূহ,
বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়াসংস্থা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ;
* বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদক, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীগণ এবং তাঁদের এজেন্ট, যাঁরা সার্ভিস ও
পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকেন বা করতে চান;
* ব্যবসায়ী যাঁরা বেতারের সকল প্রকার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও অন্যান্য দ্রব্যাদি সরবরাহ করে থাকেন।
যে সকল বিষয় শ্রোতারা বেতারে শুনতে পান (প্রচার কার্যক্রমের ক্ষেত্রসমূহ)
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল জনস্বার্থে সারা বছর প্রতিটি দিনে এর প্রচার কার্যক্রমে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকেঃ
ক) সংবাদ, সংবাদ পরিক্রমা, সংবাদ পর্যালোচনা
খ) জাতির উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার।
গ) কৃষি, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সংরক্ষণ, মৎস্য ও পশু সম্পদ সংরক্ষণ, বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ।
ঘ) মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব, এইচ আই ভি/ এইডস্ প্রতিরোধ, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, স্যানিটেশন।
ঙ) সুশাসন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ, ভেজাল প্রতিরোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংস্কার ও উন্নয়ন, মানব সম্পদের সদ্ব্যবহার, বিদ্যুৎ-পানি ও গ্যাসের অপচয়রোধ, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জনগণকে সচেতন করা।
চ) আর্থ-সামাজিক বিষয়সমূহ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পোদ্যোগ, আয় বর্ধনমূলক কর্মকান্ড, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার।
ছ) যুব উন্নয়ন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক বিষয়সমূহ, প্রতিবন্ধী কল্যাণ, প্রবীণদের কল্যাণ।
জ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়া বার্তা, বিশেষ আবহাওয়া বার্তা, দুর্যোগপূর্ব সতর্কীকরণ ও প্রস্তুতি এবং করণীয়।
ঝ) শিক্ষা, গণশিক্ষা, নারী শিক্ষা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
ঞ) শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু পাচার রোধ, হারানো বিজ্ঞপ্তি, পারিবারিক মূল্যবোধ, বাল্য বিবাহ রোধ, যৌতুক প্রতিরোধ।
চ) বন্যা, ঘুর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ বেতার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য প্রতি ঘন্টার সংবাদে আবহাওয়ার সর্বশেষ সংবাদ প্রচার করে। প্রতিদিন ৪ বার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এছাড়াও কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানে কৃষক ভাইদের জন্য বিশেষ আবহাওয়া বার্তা প্রচার করা হয়। ১নং বিপদ সংকেত এ সাধারণ আবহাওয়া বার্তা দিনে ৫বার, ২নং ও ৩নং বিপদ সংকেতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি, ৩নং নৌ বিপদ সংকেতের ক্ষেত্রে আধা ঘন্টা পরপর এবং মহাবিপদ সংকেতের ক্ষেত্রে ১৫ মিনিট পরপর এবং আঘাত হানলে ৫ মিনিট পরপর আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিন প্রচার করা হয়। এঅবস্থায় আবহাওয়ার বুলেটিন প্রচারের পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করণীয় সম্পর্কে দূর্গত মানুষদের সতর্ক করা হয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি, সাবধানতা ও পরবর্তীতে করণীয় এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুর্নবাসন বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এক্ষেত্রে অবকাঠামো পুন:নির্মাণ, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং কৃষিপুর্নবাসনকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
আঞ্চলিক পরিচালক
বাংলাদশে বেতার
রূপাতলী, বরিশাল।
ফোনঃ ০৪৩১-৭১২৫৪
ফ্যাক্সঃ ০৪৩১-৭১৫৫৯
ই-মেইলঃ rdbarisal2012@yahoo.com